• শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

যশোরের কোন সন্ত্রাসীকে ছাড় নয় পুলিশ প্রশাসন

  • ''
  • প্রকাশিত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

যশোর প্রতিনিধি: 

সম্প্রতি যশোরে কয়েকটি হত্যাকান্ডের পর পুলিশ প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে।  সন্ত্রাসী চোরাকারবারি, অস্ত্রধারি, চাঁদাবাজ ও মাদক আটক অভিযান শুরু করেছে।  পুলিশের এ অভিযানের ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি এসেছে।  এদিকে পুলিশের এই অভিযান যশোরের জনপ্রতিনিধি ও কতিপয় নেতারা ভালো চোখে দেখছেন না। তারা পুলিশের এই অভিযানকে জনপ্রতিনিধিদের হয়রানি বলে উল্লেখ করছেন।

সাধারণ মানুষ বলেছেন, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা কোন দলের বা গোষ্ঠীর হয় না।  এরা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে চাঁদা আদায় করে।  এদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন সোচ্ছার হয়েছে।  এ কারণে যশোরের সাধারণ মানুষ ব্যবসায়ি, পেশাজীবি, শ্রমজীবি মানুষ ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।  তারা বলেছেন, দেরিতে হলেও যশোরের পুলিশ প্রশাসনের টনক নড়েছে।  তারা দলমতের উর্দ্ধে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ আটক অভিযান শুরু করেছে।

এদিকে জনপ্রতিনিধিরা পুলিশের সন্ত্রাসী আটক অভিযানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।  কারণ হিসেবে জানা গেছে, বেশকিছু জনপ্রতিনিধিকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগে যশোরের পুলিশ প্রশাসন ১৪ ফেব্রুয়ারি আটক করে।  জনপ্রতিনিধি ছাড়া কতিপয় নেতাও একই দিন পুলিশের হাতে আটক হয়।  এর বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধিরা ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করার উদ্যোগ নেই। কিন্তু পুলিশি বাধার কারণে ওই উদ্যোগ ভেস্তে যায়।  পরে কতিপয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা পৌরসভার কনফারেন্স রুমে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রেসকনফারেন্স করে। সন্ত্রাসীদের আটকের কারণে জনপ্রতিনিধিরা যশোর পুলিশের এসপি এডিশনাল এসপির অপসারণ দাবি করে।  তবে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ি ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ জনপ্রতিনিধিদের সন্ত্রাসীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে পুলিশের বিপক্ষে যাওয়ার বিষয়টা ভালো চোখ দেখছেন না।  তারা এটাকে ন্যাক্কার জনক ঘটনা বলে আখ্যা দিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, উপরের নির্দেশে যশোরে সন্ত্রাসী আটক অভিযান শুরু হয়েছে।  যশোরের প্রত্যেক এলাকায় অভিযান চালানো হবে।  যেখানে সন্ত্রাসীদের অবস্থান সেখানেই পুলিশ অভিযান চলবে।   সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিঘণকারি ছোট বড় কোন সন্ত্রাসীকেই ছাড় দেয়া হবে না।   সন্ত্রাসীদেরকে কঠোর ভাবে দমন করা হবে।   তাদেরকে আইনের আওতায় এনে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads